চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি : “চাকরীর আবেদন করার লাগি ভীড় দেইখা বাজারের হাফিজ কম্পিউটারের দোকান থাইকা ঘুইরা আইছি ২দিন। পরে এক সাংবাদিকের মুখ থাইকা শুইনা তথ্য আপার অফিসে যাইয়া দেহি সত্যি সত্যিই টাকা-পয়সা ছাড়ায় আমারে বসাইয়া আবেদন করাই দিলো।” কথা বলছিলেন উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের চাকরী প্রার্থী আফরোজা’র মা রহিমা বেগম (৬০)। তিনি চারঘাট উপজেলা তথ্য কেন্দ্র থেকে গত বুহস্পতিবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই সেবা পান বলে জানান।
উপজেলা তথ্যকেন্দ্র অফিস সূত্রে জানা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়নে কাজ করছে “তথ্য আপা” প্রকল্প।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জাতীয় মহিলা সংস্থা।“তথ্য আপা” প্রকল্পে কর্মকর্তারা উঠান বৈঠকে প্রত্যান্ত অঞ্চলের নারীদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা, বাল্যবিবাহ, জীবন ও জীবিকা, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, চাকরী বিষয়ক তথ্য, যৌতুক প্রথা নিরোধ, আইনগত সমস্যা ও ডিজিটাল সুবিধা সেবা বিষয়ে অবহিত করেন এবং সচেতনতা বাড়াতে মুক্ত আলোচনা করেন। এবং বয়স্ক মহিলাদের বিনামূল্য শারীরিক ওজন, রক্ত চাপ ও ডায়াবেটিস পরীক্ষার পাশাপাশি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে থাকেন।
তথ্যকেন্দ্র চারঘাটে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রদর্শন ও আবেদন, বয়স্ক বা বিধাব ভাতা, আইজিএ ও করোনা টিকার আবেদনসহ বিভিন্ন সরকারি আবেদন বিনা মূল্যে অনলাইনে করা হচ্ছে। লাল-সবুজ অনলাইন মার্কেটিং ও উদ্যোক্তা নিবন্ধনসহ যাবতীয় ইন্টারনেট সেবা বিনামূল্য দেওয়া হচ্ছে।
সুবিধাভোগী মোছা রেনু বেওয়া (৫৮) বলেন, “স্বামীটা মরছে ১০ বছর হয়লো মেম্বার ১টা বিধবা ভাতার কার্ড কইরি দিছে। এখন মোবাইলে ট্যাকা দিচ্ছে এইবার আমার মোবাইল থেকে ট্যাকা তুলতে পারিনি। পরে “তথ্য আপা” পরামর্শের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান পাইছি।”
এবিষয়ে উপজেলা তথ্যসেবা কর্মকর্তা ফাতিমা খাতুন জানান, “উপজেলার পৌরসভাসহ প্রতিটা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ও সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতায় নারীদের সমস্যা সমাধানে পরামর্শ প্রদান করে আসছি। এই পর্যন্ত উপজেলায় ১৭হাজার ৫০০’শ মহিলাদের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে তথ্য আপা। আমি আশা করবো আপনার পাশের মানুষকে বিনামূল্যে তথ্যসেবা কেন্দ্রে আসতে উৎসাহিত করবেন।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.